লক্ষ্মীপুরের যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা

লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজারে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। বর্তমানে স্বামী পলাতক রয়েছে। গত সোমবার রাতে ঈদ উপলক্ষে শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীর সাথে স্বামী ইসমাইল ঝগড়া শুরু করে। এক র্পযায়ে শ্বশুড়, শাশুড়ি, দেবরও বড় ভাবি স্বামীর সাথে যোগ হয়ে জোসনা বেগমের উপর চাপ প্রয়োগ করে। ঝগড়ার এক র্পযাযে স্বামী জোসনা বেগম কে গলা টিপে ধরে। জোসনা বেগমের অবস্থা খারাফ দেখে ঘরে থাকা বাসুডিন নামক কিটনাশক মুখে ঢেলে সিএনজি যোগে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জোসনা বেগম মারা যায়। রাতে স্বামী পক্ষের লোকজন লাশ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়ে যায়। লাশের সুরোতহাল রিপোটে গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারের মস্তান মসজিদের পাশ্বে হাজি বাড়ির সাফিউল্লার মেঝ ছেলে ইসমাইলের সাথে ৬ বছর আগে একই জেলার রায়পুর উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের মাহাজ্জামানের কন্যা জোসনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ইসমাইল তার স্ত্রীর উপর যৌতুক দেওয়ার জন্য মানসিক ও শাররীক ভাবে নির্যাতন চালিয়। স্ত্রী জোসনা বেগম দরিদ্র বাবার বাড়ী থেকে স্বামীর চাহিদা পূরণ করার জন্য চেষ্টা করে। যৌতুকের দাবি পূরণ না হলে তাকে তালাক দিবে বলে হুমকি দেয়। বিয়ের ২ বছরের মধ্যে সুমাইয়া নামের একটি কন্যা সন্তনের মা হয় জোসনা। জোসনার মা আবজুলি বেগম জানান, আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নানা অত্যাচার করা হত। আমি যখন যা পারি তা দিয়েছি। কিন্তু সেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। তাই তিনি যৌতুকলোভী হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। এদিকে সরেজমিনে গত মঙ্গলবার জোসনার স্বামীর গ্রাম পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকায় গেলে তাদের বাড়ির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলা সাংবাদিকদের জানান, জোসনার উপর নানা অত্যাচার করা হতো। তিনি নিজেও বহুবার অত্যাচার থেকে উদ্ধার করেছে। তবে ঘটনার দিন তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি ধারণা করেন। ওই এলাকার অন্যান্য লোকজন জানান, ইসমাইল বখাটে চরিত্রের ছেলে। যৌতুকের জন্য ও নানা অজুহাতে সে তার স্ত্রীকে অত্যাচার করতো এটা সবাই জানে। তবে ঘটনার দিন যে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ কথাটি এলাকায় কানাঘোষা চলছে। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সালাউদ্দিন শরীফ জানান, লাশ ময়নাদতন্ত করা হয়েছে। তবে বিষ প্রয়োগের আগে তাকে শাররীক নির্যাতন করা হয়েছে।জোসনার পরিবার দাবি জানান, এভাবে আর কত জোসনা যৌতুক ও স্বামীর নির্যাতনে প্রাণ হারাবে। এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছেন জোসনার পরিবার। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 

Copyright © 2009 by Your News, Your Site and Mirror Of Lakshmipur,