
বেলাল হোসেন জুয়েল ঃ গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও মেঘনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন পরিস্থিতি। মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, পাঁকারাস্তা, ফসলীজমি ও বেড়ীবাঁধসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙনের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষরা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের মুখে পড়ে কমলনগর উপজেলার দু'টি বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো দু'টি বাজার। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে জানা যায়, কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে কমলনগরের মতিরহাট, চরসামছুদ্দি, সাহেবেরহাট, তালতলি, চরকালকিনি, চরজগবন্ধু, পশ্চিম চরফলকন, চরকটোরিয়া, চরমাতাব্বর, চরপাতা, উরিরচর ও রামগতি উপজেলার পশ্চিম বালুরচর, আসলপাড়া, সেবাগ্রাম, বিবিরহাট ও রামগতির হাটসহ দু'উপজেলার নিন্মাঞ্চলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এর সাথে মেঘনার জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে মেঘনাগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলীজমি, কাঁচা-পাকা রাস্তা, বেড়ীবাঁধ, হাটবাজারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। মেঘনার ভাঙনের মুখে পড়ে কমলনগর উপজেলার লুধুয়া ফিসঘাট ও সাহেবেরহাট বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মতিরহাট ও তালতলি বাজার হুমকির মুখে রয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মতিরহাট এলাকার পাউবো'র বেড়ীবাঁধ। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষরা ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সহায়-সম্বলহীন নিঃস্ব মানুষগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়হীন মানুষদের জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। মেঘনার ক্রমাগত অব্যাহত ভাঙনে প্রতিদিনই রামগতি ও কমলনগর উপজেলা ছোট হয়ে আসছে, বিলীন হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। তবুও এখন পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।