ভবিষ্যতের সাংবাদিকতা অনলাইন সংবাদপত্রে!

ফরচুন ম্যাগাজিনের কাভার স্টোরির ওয়েব এডিশন ৭৯ বছরের ম্যাগাজিনটির ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন বলতে হবে। তথ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট প্রভাবশালী হয়ে ওঠায় সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কি হবে সে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তাই ফরচুন ম্যাগাজিন যদি ফরচুন ডট কম হয় তবে অবাক হবার তেমন কিছুই থাকবে না। গত এক বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে টিকে রয়েছে ফ্লিপ ওয়েব ম্যাগাজিন। এ ম্যাগাজিনের অনুকরণ করে অনলাইন সংবাদপত্র/অনলাইন ম্যাগাজিন চালুর কথা চিন্তা করছে ফরচুন মিডিয়া। সাংবাদিকতার সঙ্গে ফ্লিপের পূর্বে কোনো যোগসূত্র ছিল না। এর রিপোর্টাররা বেশিরভাগই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাদের সংবাদ সম্পূর্ণ ইন্টারনেট থেকে তৈরি করা। তবে ফ্লিপ ম্যাগাজিনের সিনিয়র সম্পাদক ম্যাথু স্কেফার বলেন, এসব সাংবাদিকরা শুধু সংবাদই লেখেন না এখানে ভিডিও এবং অডিও অংশ জুড়ে দেয়। যা পাঠকের পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখার আগ্রহও পূরণ করে।
ফ্লিপ ম্যানহাটনে একটি ছোট অফিস নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যাদের স্থায়ী লোকবল মাত্র ১২ জনের মতো। সপ্তাহে দু’বার ম্যাগাজিনের ইসু নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা যোগাযোগ করে। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয়কে তারা তাদের ম্যাগাজিনের সাবজেক্ট হিসেবে বেছে নেয়। ফ্লিপের সিইও এ্যালান স্টোগা বলেন, আমরা কোনো ঘটনাকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করি না। আমরা ভিন্নভাবে তা পাঠকদের কাছে পৌছাতে চাই। তিনি বলেন, এ অনলাইন ম্যাগাজিনের ধারণা পুরানো ইলেকট্রনিক ধারণার হাত ধরে এসেছে। তিন দশক আগে রেমন আলবার্তো গারজা নামের একজন সাংবাদিক মেক্সিকান দৈনিক এল নর্তে যোগদান করেন। সেখানে তিনি নির্বাহী সম্পাদকও হন। কয়েক বছর আগে তিনি স্প্যানিশ ভাষায় রিপোর্ট ইন্ডিগো নামের একটি সাইট চালু করেন। এটার ধরণ এখনকার ফ্লিপ মাল্টিমিডিয়া ম্যাগাজিনের মতোই। ফরচুন ম্যাগাজিন এখন ফ্লিপের মতো অনলাইন সংবাদপত্র/অনলাইন ম্যাগাজিন হতে চাইছে। এসব সংবাদে ভিডিও অংশ জুড়ে দেয়ার জন্য টেলিভিশনের মতো কাজ করে। তাহলে আগামী দিনের ম্যাগাজিনের চেহারা কি এমন হতে চলেছে? সম্ভবত আরো জটিল, তবে এর মাধ্যমে ম্যাগাজিনগুলো কি লাভবান হতে পারবে? মন্দা পত্রিকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমস্যার মধ্যে ফেলেছে।
দি পাবলিশার ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য মতে ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ ২৬ শতাংশ কমেছে মন্দার প্রথম প্রান্তিকে। তবে ওয়েবসাইটের আয় কিন্তু কমেনি। স্টোগা বলেন, রিপোর্ট ইন্ডিগো সাইটটি আলাদাভাবে পরিচালিত হতো যার অর্থায়ন করতো মেক্সিকান প্রতিষ্ঠান আলফনসো রোমো। কিন্তু ফ্লিপ যেসব ইসু প্রকাশ করে তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দাতাদের অর্থ প্রদানে অনেকসময় বাধ্য করে। ফ্লিপ তাদের অবৈধ আচরণ বাদ দিবে না। এভাবে তারা বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করবে। এছাড়া তাদের সাংবাদিকদের বেতনও কম। কিন্তু ফ্লিপ বর্তমানে যে সমস্যা মোকাবিলা করছে তা হলো গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ফ্লিপ চালু হয় না। ফ্লিটের একজন ডিজাইনার ড্যান তাইলকাউস্কি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি দল কাজ করছে। বর্তমানে পাঠকদের কাছে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন এবং চমৎকার একটি উপায় এ অনলাইন সংবাদপত্র/অনলাইন ম্যাগাজিন। যাকে ভবিষ্যতের সাংবাদিকতার চূড়ান্ত রূপ বলা যায়। -নোয়াখালী ওয়েব ।
 

Copyright © 2009 by Your News, Your Site and Mirror Of Lakshmipur,