পানির তীব্র সংকটের কারণে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিÿণ কেন্দ্রের প্রায় ৩ কোটি পোনা উৎপাদনের (৭০ কেজি) রেনু নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুত সমস্যায় পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন ও বেøায়ারে অক্সিজেন সরবরাহে বিঘœ ঘটনায় গত দু’মাসে ওই পরিমাণ রেনু নষ্ট হয় বলে সংশিøষ্ট সূত্রে জানা গেছে।এছাড়াও ব্রæড পুকুরগুলোতে পর্যাপ্ত পানি দিতে না পারায় হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় ৮ মেট্রিক টন ব্রæড (মা) মাছ। গত বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক রেনু সরবরাহ করতে না পারায় গ্রাহকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে স্থানীয় কর্তৃপÿের সমস্যা সম্বলিত জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পেয়ে গতকাল মৎস্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক আলী আজম কেন্দ্রটি পরিদর্শন করতে আসেন। প্রজনন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, মার্চ-আগষ্ট পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ৪শ’ কেজি রেনু উৎপাদন লÿ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সকল প্রকার সরবরাহ পর্যাপ্ত পাওয়া গেলে এ পরিমাণ রেনু থেকে প্রায় ১৬ কোটি বিভিন্ন প্রজাতির পোনা উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু গত দু’মাসে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে কেন্দ্রের বিদ্যুত চালিত ৩টি গভীর নলক‚প চাহিদা মতো পানি উত্তোলন করতে পারেনি। অনেক সময় বিদ্যুৎ দেয়া হলেও তা ৩৮০ ভোল্টেজের অনেক কম থাকায় নলক‚পগুলো চালানো যাচ্ছে না।এছাড়াও রেনু থেকে পোনা উৎপাদনের জন্য বেøায়ারে অক্সিজেন সরবরাহও পর্যাপ্ত হয়নি। এ কারণে এবং খালের পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ায় দু’মাসেই ৭০ কেজি রেনু নষ্ট হয়ে যায়। এ পরিমাণ রেনু থেকে প্রায় ৩ কোটি পোনা উৎপান হওয়ার কথা ছিল। পানি উত্তোলনে ব্যর্থ হওয়ায় ৩০ টি ব্রæড পুকুরেওঅল্প পরিমাণ পানি রয়েছে। প্রচন্ড তা পানি গরম হয়ে উঠা ঝুঁকির মুখে রয়েছে প্রায় ৮ মে:টন ব্রæড মাছ (ডিমওয়ালা মা মাছ)। ৩০টি নার্সারী পুকুরে উৎপাদিত পোনা পরিচর্যার কথা থাকলেও পানি শূণ্যতায় সেখানেও পোনাগুলোকে ঝুঁকির মুখে রাখতে হচ্ছে। পানি শূণ্যতায় ইতোমধ্যে ২০টি পুকুর ছাগলের চারণভ‚মিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সরেজমিন পদর্শনকালে ওই পুকুরগুলোতে ছাগলকে ঘাস খেতে দেখা গেছে। সূত্র আরো জানায়, কেন্দ্রের ৭৫টি পুকুর দীর্ঘদিনেও খনন না করায় এগুলো প্রায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিটি পুকুরেই দ্রæত এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীরতায় খনন না করলে এগুলো পরিত্যক্ত হিসেবে ঘোষণা করার উপক্রম হবে। পুকুর ব্যবস্থাপনার জন্য অভ্যন্তরীণ রা¯Íাগুলো ও তলদেশে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ওইগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।অনেক পুকুরের পাড় দীর্ঘ সময়েও সংস্কার না করায় তা ভেঙ্গে অপর পুকুরের সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে। রা¯Íাগুলো ভেঙ্গে পাইপ লাইন বেরিয়ে পড়েছে।কেন্দ্রটিতে গত অর্থ বছরে পোনা ও রেনু বিক্রয়ের লÿ্যমাত্রা ছিল ২৪ লÿ টাকা। কিন্তু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ শ্রম-ঘামে আয় হয় ৩৫ লÿ টাকা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখানে যে পরিমাণ জনবল থাকার কথা রয়েছে তা নেই। প্রথম শ্রেণীর ৯জন কর্মকর্তার স্থলে রয়েছে ৪জন, দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা ৪ জনের মধ্যে ২জন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ৩৯জনের মধ্যে আছে ১৮জন, ৪র্থ শ্রেণীর ২৯জনের মধ্যে আছে মাত্র ১৪জন। মোট ৮১জন কর্মকর্তা, কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৩৮জন। বাকী ৪৩ পদ দীর্ঘদিন থেকে শূণ্য পড়ে থাকলেও উধ্বত্বন কর্তৃপÿ এখানেও কোন নিয়োগ দেয়নি। কিন্তু জনবলের পর্যাপ্ত অভাব থাকা সত্বেও তারা কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য তারা লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটিকে আরো লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সমস্যাসমূহ দ্রæত সম্পাদনের দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মৎস্য প্রজনন ও প্রশিÿণ কেন্দ্রের উর্ধ্বত্বন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী ইকবাল আজম বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন সম্ভবনা হওয়ায়রেনু, ব্রæড ওপোনাপরিচর্যায় বেগ পেতে হচ্ছে।উধ্বর্ত¦ন কর্তৃপÿকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুকুরগুলোও খননের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য গ্রাহকদের চাহিদা থাকা সত্বেও পর্যাপ্ত রেনু ও পোনা সরবরাহ করতে পারছিনা। এজন্য প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ল²ীপুর পলøী বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আশরাফুল হক বলেন, বিষয়টি জানার পরআমরাও যাচাই করে দেখেছি। হ্যাচারীর অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ওখানে আমাদের করার কিছুই
Browse » Home » » রায়পুর মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের ৩ কোটি রেনু নষ্ট পানির তীব্র সংকট উৎপাদন ব্যাহত ৮ মে.টন ব্রæড মাছ হুমকির মুখে