
সদর উপজেলার বিজয় নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হওয়ার আশংকায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে ২০০৫ সনের ১৫ ডিসেম্বর তাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও উন্নততর পাঠদান প্রক্রিয়ায় এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অল্প সময়ে পূর্বের অবস্থা থেকে ভালো ফলাফল করতে থাকে। কিন্তু ২০০৭ সালে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাজ্জাকুল হায়দার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। ওই সময় তার অনিয়তান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণের প্রতিবাদে ম্যানেজিং কমিটির দু’সদস্য কমিটির মেয়াদ দেড় বছর থাকার পরও স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ৯ এপ্রিল বিদ্যালয় ছুটির পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনুগত কয়েকজন বহিরাগত ব্যক্তি বিদ্যালয় অফিসে প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কথিত পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। এ ঘটনায় ভীতসন্ত্রস্ত প্রধান শিক্ষক ১২ এপ্রিল ল²ীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (ডায়েরী নং-৯৪৩/০৯) পরে ২২/০৪/০৯। এছাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সহ-সভাপতি স্কুলের টাকা পয়সা আত্মস্বাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ল²ীপুরে জজকোটে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পদত্যাগে বাদ্যকরায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (ডায়েরী নং-৯৪৩)। ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি অন্যায় ও অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মাসাতের লক্ষ্য নিয়ে প্রধান শিক্ষককে একাদিকে বার ম্যানিজিং কমিটির সিদান্ত ছাড়াই পদত্যাগের নোটিশ প্রদান করে। এতে শিক্ষক ও এলাকাবাসী.... প্রকাশ করেন। এছাড়া রাজ্জাক চৌধুরী শিক্ষক কর্মচারীর সকল প্রকার ভাতা এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা বন্দ করেদেন। এছাড়া তার অনুগত না হওয়ায় ৪র্থ শ্রেণীর একর্মচারীকে চাকুরী... করে। একজন আয়া নিয়োগ করে স্কুলের ২ হাজার টাকা অধিক ব্যায় বৃদ্ধি করেছে। এদিকে বার্ষিক ক্রিয়ার ১২ হাজার টাকা বরাদ্ধ থাকলেও তিনি নিজ হাতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে বিদ্যালয়ের উপর চাঁপিয়ে দেয়। এবছর স্কুল মাঠে গরুর বাজার বসিয়ে কয়েক হাজার টাকা আদায় করলেও স্কুলকে সঠিক হিসবে প্রদানে করা হয়না। অপর দিকে হাসুন্দি নারী নিকেতণের পথা থেকে বিজয় নগর স্কুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে (ডায়েরী নং-৩২) বিজয় নগর উচ্চবিদ্যালয়ের নিয়ে একাদিক মামলা নিয়ম বহিভূত ভাবে প্রধান শিক্ষক কে জোর পূর্বক অপসারণ ও শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির দন্দে ঐতিহ্যবাহী স্কুলের পড়া-লেখারমান নিম্ন মূখী হওয়ার ছাত্র/ছাত্রী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন