এক কলেজে ৪ অধ্যক্ষ!

সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বলে ৪জন পরিচয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজকে একজন, কালকে আরেকজন এভাবে অনেকজনেই নিজকে অধ্যক্ষ বলে পরিচয় দিচ্ছে এবং এলাকায় সমস্য সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও কলেজ কমিটি সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর কমার্স কলেজের রেজিষ্টার ও বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জি এম জাকারিয়া খাঁনের উদ্যোগে ২০০৬ সালে বশিকপুর মডেল কলেজ নামে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রচুর শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ২ বছর খুব সুণামের সাথে কলেজটি পরিচালিত হয়েছে। তখন লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ এন এম আব্দুল মান্নান অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। কিছুদিন না যেতে এলাকার একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করে এই কলেজটিকে দত্তপাড়া কলেজের মাত্র ৩ মাইল অদূরে বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজ নামে স্থানান্তর করে। এরপর এ এন এম আব্দুল মান্নান এই ষড়যন্ত্র দেখে কলেজ থেকে অব্যাহতি নিলে আহমদ হোসেন কলেজ কমিটি কর্তৃক পরীক্ষার মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ৪ মাস দায়িত্ব পালনের পর হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক দলিলুর রহমান নিজকে অধ্যক্ষ বলে পরিচয় দিতে থাকে । এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে কলেজের স্থানীয় প্রভাবশালী বাহার পাটোয়ারীও এলাকায় নিজকে অধ্যক্ষ বলে পরিচয় দিয়ে আসছে। তবে গত কয়েকদিন থেকে ওই কলেজের ব্যবস্থাপনার শিক্ষক নুর আলম জিকো এলাকায় দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে যে সে ওই কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ। নিজকে অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে কলেজের নামে বিভিন্ন কারচুপি ও অন্যান্য করে যাচ্চে সে। তবে বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রকৃত অধ্যক্ষ কে এই প্রশ্ন ওই এলাকার শিক্ষানুরাগী লোকদের এবং ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে কলেজের উদ্যোক্তা জি.এম জাকারিয়া খানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা কলেজটিকে প্রতিষ্ঠিত করছি বশিকপুরসহ উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য। অত্যন্ত সুণামের সাথে তা পরিচালিত হতে থাকলো। কিন্তু এলাকার কিছু কুচক্রি মহল এই নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কলেজে অনেকজনকে অধ্যক্ষ বানিয়ে কলেজের মানসম্মানকে নস্যাৎ করছে। যার কারণে বর্তমানে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী যা শিক্ষার্থী থাকা প্রয়োজন তার ছেয়ে কম শিক্ষার্থী ও শিক্ষার মান অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ছে।। তাই ওই কলেজের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র দুর ও কলেজটিকে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য সুব্যবস্থার জন্য প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সাহায্য একান্ত কাম্য।
তবে বাহার পাটোয়ারী ও দলিলুর রহমানের জনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যাপারটি অস্বীকার করেন।
 

Copyright © 2009 by Your News, Your Site and Mirror Of Lakshmipur,