Browse » Home » » লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফের সার্টিফিকেট বানিজ্য
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফের সার্টিফিকেট বানিজ্য
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফ দীর্ঘদিন থেকে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সার্টিফিকেট বানিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এই ভূয়া সাটিফিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার শতশত সাধারণ মানুষ। ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম টিটু লিখিত অভিযোগে জানান, গত ০১ আগষ্ট লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয়ের সম্মুখে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বর্তমানে ভর্তিরত। আমার মামলার ২নং বাদী বেলাল হোসেন আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে গিয়ে তার কপালে সামান্য জখম হয়। সামান্য জখমে ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাওয়া বেলাল হোসেনকে ৩২৬ ধারার সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বেলাল হোসেনকে ০৭ সেপ্টেম্বর পাবলিক হেলথে টেন্ডার নিয়ন্ত্রনে দেখা গেছে। কিন্তু আমি ৬ সেপ্টেম্বর আমার জখমের সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সার্টিফিকেট গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর রাতে আমার অজান্তে আমার মামলার ২/৫ নং বিবাদীর উপস্থিতিতে থানার কর্মকর্তারা নিয়ে যান। আরো জানা যায়, ১২নং মামলার ১নং আসামী সেলিমকে গত ৬ আগষ্ট শবে বরাতের দিন অনুমান ৪টায় পুলিশ ছিনতাইয়ের অপরাধে গ্রেফতার করে কিন্তু ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফ ৭ আগষ্ট উক্ত আসামী হাসপাতালে ভর্তি ও সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এতে করে লক্ষ্মীপুরের মানুষ তার হাতে অহেতুক মিথ্যা ও ভূয়া সাটিফিকেটের কারণে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও ভূয়া মামলায় পড়ে সর্বস্ব নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আরো অনেক লোককে মিথ্যা ও ভূয়া সাটিফিকেটের কারণে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর আশংকা করছেন লক্ষ্মীপুরবাসী। তার এই সার্টিফিকেট বানিজ্য বন্ধ ও সাধারন মানুষদের রক্ষা করতে লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কতর্ৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এ ব্যাপারে ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীফের সাথে আলাপ করলে তিনি নিউজভিশনকে জানান, টিটু ও বেলালের যথাযথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে এবং ৬ তারিখে আসামী গ্রেফতার কিন্তু ১৩নং মামলার বাদীনী নুরজাহান বেগম ৭ তারিখে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে সেলিমকে ভর্তি করে একটি মিথ্যা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে। এ ব্যাপারে আলাপ করলে ডাঃ সালাহউদ্দিন শরীপ জানান, ফাইল পত্র দেখতে হবে। আপাতত সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং পড়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন।