
এটিএন বাংলা'র বুধবারের ধারাবাহিক নাটক ‘নকশা’। মামুনুর রশীদ পরিচালিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন নোয়াখালীর কৃতি সন্তান এ টি এম শামসুজ্জামান। কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
প্রতিবেদক:: নকশা নাটকটি নিয়ে কিছু বলুন।
এটিএম শামসুজ্জামান: চমৎকার একটি গল্পের নাটক নকশা। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের নিয়ে এ নাটকটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা। এখানে দেখানো হয়েছে, আমাকে এবং আমার পরবর্তী প্রজন্মকে। আমাদের দুই প্রজন্মের মধ্যে যে মিল এবং অমিল সবই তুলে আনা হয়েছে এ নাটকে। একটা কথা বলা দরকার যে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে নাটক হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
প্রতিবেদক:: অন্য কোনো নাটকে অভিনয় করছেন না?
এটিএম শামসুজ্জামান: এখন করছি না। আসলে শরীরটা আর কুলোয় না। যে গরম পড়েছে, তাতে করে রোদে কাজ করতে পারি না। তার পরও যে কাজটা করতে মন চায় সেই কাজটা করি। যেমন, এর মধ্যে হুমায়ুন আহমেদের একটি গল্পের নাটকে খুবই ভালো চরিত্রে কাজের অফার পেলাম। কিন্তু পরে না করে দিয়েছি। কারণ, আমি এতটা সময় নিয়ে এখন কাজ করতে পারব না। পরে ওই নাটকেরই একটি দৃশ্যে কাজ করেছি অতিথি শিল্পী হয়েই। নাটকের নাম খেলা। সম্ভবত ঈদে নাটকটি প্রচারিত হবে।
প্রতিবেদক:: আগে ঈদের একাধিক নাটকেই তো আপনাকে দেখা গেছে। এবার করছেন না?
এটিএম শামসুজ্জামান: এবার একটি-দুটি নাটকে হয়তো দেখা যাবে। বেশি নাটকে কাজ করিনি। আর ভালো পান্ডুলিপি না পেলে কাজ করতে ইচ্ছা করে না। কাজ তো করি মনের আনন্দের জন্য। কাজ করে যদি সেই আনন্দ না পাই, তাহলে কাজ করে লাভ কী?
প্রতিবেদক:: সিনেমায় কাজ করছেন না?
এটিএম শামসুজ্জামান: অনেক দিন পরে একটি কাজ হাতে নিলাম। সোহানুর রহমান সোহানের ‘এই মন তোমাকে চায়’ ছবিতে কাজ করছি। বেশ যত্ন নিয়ে ছবির চিত্রনাট্য করেছে সোহান। আসলে এখন তো বয়স হয়ে গেছে, যদি একটু ভিন্নধর্মী চরিত্র না পাই, তবে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।
প্রতিবেদক:: আপনার নিজের ছবির খবর কী?
এটিএম শামসুজ্জামান: আমার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র এবাদত মুক্তি পাবে আগামী ৩ জুলাই। ছবিটি সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। সামান্য কিছু অংশের কাজ করে আবার জমা দিয়েছিলাম। এবার আর কোনো বাধা আসেনি। এবাদত-এর ব্যবসায়িক ফলাফল দেখার অপেক্ষায় আছি। ভালো ফলাফল পেলে আবার ছবি বানাব। চলচ্চিত্রে এসেছিলাম নির্মাতা হতে। কিন্তু হয়ে গেছি অভিনেতা। তাই ছবির নির্মাণকাজ নিয়ে আগ্রহটা এখনো কাজ করে।