লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে সোমবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার ১২টি গ্রুপের দরপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। সোমবার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। সকাল থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী সড়ক বিভাগের রক্ষিত টেন্ডার বাক্সটি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা চালায়। পরে অপর একটি গ্রুপ লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে টেন্ডারবাক্সে দরপত্র ফেলতে গেলে সেখানেও নিয়ন্ত্রনকারী গ্রুপ সাধারণ ঠিকাদারদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের মধ্যে টেন্ডার দখলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় সড়ক ভবন ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দু গ্রুফের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানা পুলিশ যুবলীগকর্মী ইমতিয়াজ, বাহার উদ্দিন, আব্দুর রহিম, জাহিদ রহমান জুয়েল, ফয়েজকে গ্রেফতার করে এবং এদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এদিকে সড়ক ও জনপথ অফিসেও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে সংঘর্ষ বাধে। এসময় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আকবর হোসেন ও যুবলীগ কর্মী টিটুসহ ৫জন আহত হয়। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ সাধারণ ঠিকাদাররা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা সাধারণ ঠিকাদারদের দরপত্র জমা দিতে বাধা দেয়। বাধা ও হুমকির ভয়ে অনেকেই দরপত্র জমা দিতে পারেনি। সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, দরপত্র জমাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হয়েছে। কেউ কেউ দরপত্র জমা দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তার অফিস সুত্র তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না এবং এসপি অফিসে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। তবে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল চৌধুরী জানান, টেন্ডার নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে এস পি অফিসে কম্পিউটার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এবং এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল যুবক সড়ক ও জনপথ অফিসে টেন্ডার বাক্স নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম । যুবলীগের জেলা আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ জানায়, ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন সংঘর্ষ ঘটে নি। ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামধারী কিছু লোক টেন্ডার নিয়ন্ত্রন করতে গেলে সাধারণ ঠিকাদাররা বাধা দেয়।
Browse » Home » » লক্ষ্মীপুরে টেন্ডার নিয়ে ছাত্র-যুবলীগ সংঘর্ষে আহত-৫, গ্রেপ্তার-৫