লক্ষ্মীপুরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জনতা ডিগ্রী কলেজের পৌরনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম খান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকুরীচ্রুত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ দলীয় জোট সরকার মতা আসার পর থেকে ২০০১ সালে কলেজ গভনিং বডি তার অর্জিত ছুটি মঞ্জুর না করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম না মেনে তাকে বেআইনি ভাবে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দান করে। জোট সরকারের পতনের পর তিনি যথারীতি চাকুরীতে যোগদানের জন্য কলেজ অধ্যরে কাছে আবেদন করেন। এদিকে কলেজ কতর্ৃপ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম খানকে ২০০৪ সালে কমিটির রেজুলেশনের মাধ্যমে অব্যাহতি দান করলেও ৪ বছর পরে পুনরায় তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৪ বার তদন্ত কমিটি গঠন করেন। জনতা ডিগ্রী কলেজের অধ্য মোহাম্মদ ইউছুফ তদন্ত কমিটির সদস্যদেরকে যথাযথ সহযোগীতা না করায় তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। সর্বোপরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্মীপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো: দেলোয়ার হোসেনকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটিকেও জনতা কলেজের অধ্য সহযোগীতা না করার কারণে তারাও তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি। বর্তমানে জাহাঙ্গীর আলম খান চাকুরী হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে সুদৃষ্টি কামণা করছেন এবং সবেতনের তার চাকরী ফিরে পাওয়ার জন্য কলেজ কতর্ৃপরে দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এ ব্যাপারে জনতা ডিগ্রী কলেজের অধ্য মোহাম্মদ ইউছুফের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলম খান তার কলেজের পৌরনীতির একজন সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। জোট সরকারের প্রথম ২ বছর তিনি কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন । তাকে ৩ বার নোটিশ প্রদান করার পরও তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি। পরে শিকের প্রয়োজনে কলেজ গভনিং বডি সিদ্ধান্ত ক্রমে তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। পরে জানতে পারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপ অব্যাহতি প্রদান না করলে কলেজ কতর্ৃপরে অব্যাহতি কার্যকর হবেনা । বর্তমানে জাহাঙ্গীর আলম খানের চাকরীর বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতর্ৃপরে তদন্তাধিন রয়েছে।
অপরদিকে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব আহম্মদ করিম মিয়া জানান, প্রফেসরের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এর আগে যা করা হয়েছে তা কমিটির সদস্যদের যৌথ সিদ্ধান্তের ক্রমে করা হয়েছে।
 

Copyright © 2009 by Your News, Your Site and Mirror Of Lakshmipur,