লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার,ভূমি (এসিল্যান্ড) পদটি দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ শূন্য থাকায় একদিকে অফিসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে অপর দিকে আপামর জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। রামগঞ্জ উপজেলা পাঁচ লাধিক লোক বিভিন্ন সমস্যা অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে জমি বিক্রি করে। সরকারি আইনুযায়ী জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে সইমোহর পর্চা দরকার। রামগঞ্জ ভূমি অফিস থেকে বর্তমানে একটি সই মোহর পর্চা পেতে মালিকদের মাসের পর মাস এমনকি বছর পর্যন্ত অপো করতে হচ্ছে। ২০০১ সালের ৭ জানুয়ারি সহকারী কমিশনার,ভূমি (এসিল্যান্ড) সৈয়দ মিজানুর রহমান অন্যত্রে বদলি হয়ে যাওয়ার পর কোন কর্মকর্তা যোগদান করেনি। ভূমি অফিসের কার্যক্রম সচ্ছল রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু ৮ বছর ৯ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলি হওয়া জনদুর্ভোগ চরমে পৌছে। নির্বাহী অফিসার নিজ অফিসে বসে নামমাত্র কাগজপত্র দেখে স্বার করে। এ সুযোগে ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারী চিহ্নিত দালালেরা মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি পর্চার জন্য আগত জমির মালিকদের নানাভাবে হয়রানী করছে। জমির মালিকেরা অসাধু ব্যক্তির চাহিদামত অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে মাসের পর মাস অত্র ভূমি অফিসে পর্চা পাচ্ছেনা। তারা নির্বাহী অফিসারকে ফুসলিয়ে কাগজপত্রে নামের ভূল রয়েছে উল্লেখ করে ফাইলটি আটকিয়ে রাখে। রামগঞ্জ পৌর ভূমি অফিসের সহকারী তহসিলদার জহিরুল ইসলামসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের বলেন, রামগঞ্জের পৌরসভাসহ ১০টি ভূমি অফিসের তহশিলদার, উপজেলা ভূমি অফিসের ডিলিং স্টার, এক পিয়ন, নির্বাহী অফিসার যোগসাজসে পর্চার আবেদনকারীদের থেকে সর্বনিæ ৩ হাজার সর্বচ্ছো ৩০ হাজার টাকার আদায় করছে। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের কাগজপত্র ভুল আছে বলে বাতিল করেদেয়। বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অভাবে উপজেলার জমির পর্চা, খাজনা আদায়, খাস জমি বন্দোবস্ত সহ জমি সংক্রান্ত উচ্চতর আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে দীর্ঘ সূত্রিতা সৃষ্টি হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের লোকজন সাধারণত কন্যার বিয়ে-সাদী, অসুখ-বিসুখ, বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি-জমা বিক্রির প্রয়োজনে পর্চা পত্তন করে থাকে। কিন্তু কর্মকর্তার অভাবে ভূক্তভোগীরা সময়মত পর্চা পত্তন পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে ভূমি অফিসের এক কর্মচারি বলেন, এসিল্যান্ডের পদটি শূন্য থাকায় জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সঠিক কিন্তু সহকারী তহশিলদার সাংবাদিকদের পর্চার নামে অর্থবানিজ্যের যেই অভিযোগ দিয়েছে তা ঠিক নয়, তবে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু আর্থিক গোপনে লেনদেন হলে তা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর একান্ত ব্যক্তিগত।
Browse » Home » » রামগঞ্জে ৮ বছর ধরে এসিল্যান্ড নেই \ জন দুর্ভোগ চরমে