লক্ষ্মীপুর জেলার মেঘনা উপকূলীয় রামগতি উপজেলার চর আব্দুল্যাহ ইউনিয়ন ও পাশর্্ববর্তী মেঘনা উপকূলীয় এলাকার জেলে পরিবার গুলোর প্রতিক্ষার আজো শেষ হয়নি। থামেনি তাদের কান্না। বিগত ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ভয়াবহ সিডরের আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ঘর বাড়ি ফসলেল মাঠ সবই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। নিহত হয় হাজার হাজার মানুষ। এসময় লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় এলাকার তুলনা মূলক ক্ষয় ক্ষতি কম হলেও গভীর সমুদ্র বক্ষে মাছ ধরারত জেলেরা সিডরের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এদের মধ্যে ৭৩ জন জেলে আজো নিখোঁজ রয়েছে। এদের মদ্যে জয়নাল আবদীন ও মঞ্জুর হোসেন নামে দুই জেলে আজো ভারতের আলীপুর সেন্টাল জেলে বন্দী রয়েছে বলে স্বজনদের কাছে খবর এসেছে। ওই জেল খানায় রামগতির আর কোন জেলে বন্দি রয়েছে কিনা এবং ভারতের অপর কোন কারাগারে নিখোঁজ রামগতির জেলে রয়েছে কিনা তা সন্ধান পাওয়া জেলে জয়নাল আবদীন ও মঞ্জুর হোসেন মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেও আসার পর জানা যাবে। আর এই দু'জনে কবে নাগাদ ফিরে আসবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে নিখোঁজ জেলে পরিবার গুলোতে। খবর- দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠ। গত ৫মে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুর রহমান হাসিব জেলে মঞ্জুর হোসেন ও জয়নাল আবদীনকে মুক্ত করে ভারতীয় কারাগার থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি পত্র লিখে যা বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে ইতোপূর্বে বরগুনা জেলার পাথর ঘাটার নিখোঁজ জেলেরা ভারতীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এসে জানিয়ে ছিল। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরারত অবস্থায় সিডরের কবলে পড়ে জেলেদের নৌকা ও ট্রলার ডুবে গেলে তারা ভাসতে ভাসতে ঢেউয়ের তোড়ে উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছলে ভারতীয় উপকূল রক্ষিরা তাদের উদ্ধার করে স্বদেশে ফেরৎ না পাঠিয়ে সেদেশের কারাগারে প্রেরণ করে। ফলে তারা বন্দি জীবন যাপন করছে। এদিকে স্বজন হারানো জেলে পরিবার গুলোতে কান্না ও অপেক্ষার পাশাপাশি রয়েছে ক্ষুধার যন্ত্রণা। অধিকাংশ পরিবারই দিনের পর দিন উপোষ কাটাচ্ছে। মো: রফিকুল ইসলাম, (লক্ষ্মীপুর ওয়েব নিউজ), ২০ মে ২০০৯ইং।
Browse » Home » » ভয়াবহ সিড়রের তান্ডবে গভীর সমুদ্র থেকে লক্ষ্মীপুরের ৭৩ জেলে আজো নিখোঁজ দু'জন বন্দী হয়ে আছে ভারতের কারাগারে