দৃষ্টিহীন ৫ জোড়া চোখের স্বপ্ন



লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় একই পরিবারের শিশু মহিলাসহ পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। অভাব-অনটনের কারণে বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। যৌতুকের কারণে মেয়ে বিয়ে দিতে পারছেন না প্রতিবন্ধী বাবা। একবেলা খেলে অন্যবেলা থাকতে হয় উপস। তারা সবার সহযোগিতা নিয়ে দুই বেলা খেয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন। জানা গেছে, নাম্বার কেরোয়া ইউনিয়নের লালচরী গ্রামের হাফেজ মো ইসমাইল (৪৮) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তার তিন ছেলে, এক মেয়েও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বড় ছেলে রহমতউল্যা (২০) জন্মগতভাবেই অন্ধ। তিনি কোরআন মুখস্থ পড়তে পারেন। ভালো গানও গান। এলাকায় গান গেয়ে মানুষকে আনন্দ দিয়ে পকেট খরচ জোগান রহমত। দ্বিতীয় মেয়ে আয়াতেন নেছা (১৬) নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। দারিদ্র্যের কারণে বর্তমানে তিনি বাবা-মায়ের সংসারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। যৌতুকের জন্য তাকে বিয়ে দিতে পারছে না প্রতিবন্ধী বাবা। তৃতীয় ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আয়াতউল্যা (১৫) বাড়িতেই থাকেন। চতুর্থ ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নেয়ামতউল্যাহ () হাফেজ ইসমাইলের বড় বোনো কুমারী আমেনা বেগম (৩৫) শারীরিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তিনি ইসমাইলের সংসারেই থাকেন। ইসমাইলের বাবা দৃষটিপ্রতিবন্ধী হাফেজ মো. কেরামত আলী আট বছর আগে প্যারালাইজড মা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোমানা বেগম প্রায় দেড় বছর আগে খাদ্যনালি শুকিয়ে মারা যান। ইসমাইল মিয়ার স্ত্রী জানান, আমাদের পরিবারে রোজগার করার মতো কেউ নেই। কারো কাছে মুখ ফুটে কিছু চাইলেও পাওয়া যায় না। প্রসঙগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সরকারিভাবে যে সহযোগিতা আসে তার একটা অংশ ওই পরিবারকে দেয়া হয়। রায়পুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম যোবায়ের বলেন, আমি জেনেছি ওই পরিবারের একজন প্রতিবন্ধী ভাতা পান। খোঁজ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে তাদের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকান : মো. আয়াতউল্যা, সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বারÑ ১৩৮৪৮, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, রায়পুর শাখা, লক্ষ্মীপুর। jaijaidin.com



 

Copyright © 2009 by Your News, Your Site and Mirror Of Lakshmipur,