লক্ষ্মীপুরে কলেজ পড়ুয়া নওশিন শারমিন ঝর্ণার
(২০) রহস্যজনক আত্মহত্যায় এলাকাবাসীর মাঝে রহস্য ও বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি পৌর
শহরের হাসপাতাল রোডের রহমান মঞ্জিলে ঘটেছে। তারমৃত্যুতে এলাকায় হতাশ ও ক্ষোভ বিরাজ
করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঝর্ণার বড় ভাই আমজাদ হোসেন মিস্টার জানায়,
কয়েক বছর পূর্বে তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু কমলনগর নিবাসী তারেকুল ইসলাম সুমন প্রায়ই
একই এলাকায় ঝর্ণাদের গ্রামের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এরকারণে দু পরিবারের মধ্যে
সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মধ্যে সুমন ঝর্ণাকে বিয়ে করার জন্য ঝর্ণার
ভাইকে প্রস্তাব দেন। ঝর্ণার ভাই বলেন, যদি সুমনের পরিবার রাজি হয় তাহলে তিনি এ
প্রস্তাবে রাজি হবেন। এরমধ্যে সুমনের পরিবার এ ব্যাপারে কোন যোগাযোগ করেনি। গত ১
বছর আগে সুমন শহরের বিসিক এলাকায় সওদাগর বাড়িতে নুপুর নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এরপর
দুপরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ ছিলনা।
হঠাৎগত ৫/৬ দিন আগে ঝর্ণার পরিবার তার জন্য
দত্তপাড়া হামিদ মিয়াজির হাঠের নিকট মাকছুদুর রহমান হিরক’র সাথে ঝর্ণার বিয়ের
কথাবার্তা চলে। পরে গত পরশু তাদের এঙ্গেজমেন্ট হয়ে যায়। এদিকে এই খবরে সুমন ঝর্ণার
বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে ঝর্ণার ছবির সাথে তার নিজের একটি ছবি
লাগিয়ে ঝর্ণার বর পক্ষকে দেখায় এবং ঝর্ণার এলাকায় প্রচার করে যে ঝর্ণার সাথে তার
বিয়ে হয়েছে। যারকারণে ঝর্ণার বর পক্ষ তাকে বিয়ে করে নিতে অসম্মতি প্রদান করে। বিয়ে
ভেঙ্গে যাওয়া ও এলাকায় সুমনের অপপ্রচারের অপমানের গ্লানি সইতে না পেরে ঝর্ণা ১৫
ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ফ্যানের সাথে ওরনা পেছিয়ে আত্মহত্যা
করে। তার ধস্তাধস্তিতে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে। ঝর্ণা লক্ষ্মীপুর সরকারি
কলেজের অনার্সের ছাত্রী। তার এই রহস্যজনক অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যগণ খুবই
ভেঙ্গে পড়েন। তারা সুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ
করছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিষ্টার বাদি হয়ে সুমনসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা
দায়ের করেছে।
এদিকে ঝর্ণার পরিবার মেয়ে হারানোর শোকে
নির্বাক। তারা এ ঘটনার শাস্তির জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।
লক্ষ্মীপুরে কলেজ পড়ুয়া নওশিন শারমিন ঝর্ণার (২০) রহস্যজনক আত্মহত্যায় এলাকাবাসীর মাঝে রহস্য ও বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের রহমান মঞ্জিলে ঘটেছে। তারমৃত্যুতে এলাকায় হতাশ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঝর্ণার বড় ভাই আমজাদ হোসেন মিস্টার জানায়, কয়েক বছর পূর্বে তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু কমলনগর নিবাসী তারেকুল ইসলাম সুমন প্রায়ই একই এলাকায় ঝর্ণাদের গ্রামের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এরকারণে দু পরিবারের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মধ্যে সুমন ঝর্ণাকে বিয়ে করার জন্য ঝর্ণার ভাইকে প্রস্তাব দেন। ঝর্ণার ভাই বলেন, যদি সুমনের পরিবার রাজি হয় তাহলে তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হবেন। এরমধ্যে সুমনের পরিবার এ ব্যাপারে কোন যোগাযোগ করেনি। গত ১ বছর আগে সুমন শহরের বিসিক এলাকায় সওদাগর বাড়িতে নুপুর নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এরপর দুপরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ ছিলনা।
হঠাৎগত ৫/৬ দিন আগে ঝর্ণার পরিবার তার জন্য দত্তপাড়া হামিদ মিয়াজির হাঠের নিকট মাকছুদুর রহমান হিরক’র সাথে ঝর্ণার বিয়ের কথাবার্তা চলে। পরে গত পরশু তাদের এঙ্গেজমেন্ট হয়ে যায়। এদিকে এই খবরে সুমন ঝর্ণার বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে ঝর্ণার ছবির সাথে তার নিজের একটি ছবি লাগিয়ে ঝর্ণার বর পক্ষকে দেখায় এবং ঝর্ণার এলাকায় প্রচার করে যে ঝর্ণার সাথে তার বিয়ে হয়েছে। যারকারণে ঝর্ণার বর পক্ষ তাকে বিয়ে করে নিতে অসম্মতি প্রদান করে। বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া ও এলাকায় সুমনের অপপ্রচারের অপমানের গ্লানি সইতে না পেরে ঝর্ণা ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ফ্যানের সাথে ওরনা পেছিয়ে আত্মহত্যা করে। তার ধস্তাধস্তিতে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে। ঝর্ণা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী। তার এই রহস্যজনক অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যগণ খুবই ভেঙ্গে পড়েন। তারা সুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিষ্টার বাদি হয়ে সুমনসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে ঝর্ণার পরিবার মেয়ে হারানোর শোকে নির্বাক। তারা এ ঘটনার শাস্তির জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।