এলো খুশির ঈদ

মো: নজরুল ইসলাম দিপু : আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল উদযাপিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর যদি চাঁদ দেখা না যায় ঈদ হবে পরশু। ঈদকে সামনে রেখে গতকয়েকদিন ধরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ। ঈদুল ফিতর এখন শুধুমাত্র মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উৎসব নয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই উৎসব আজ সার্বজনীন হয়ে উঠেছে।
লক্ষ্মীপুরের যেসব লোকজন শহরে কর্মসূত্রে অবস্থান করেন তাদের প্রিয়জনের সাথে ঈদ করার জন্য বাড়ি লক্ষ্মীপুরে আসতে তাদের পোহাতে হয় বাড়তি ভোগান্তি। তবুও ঈদ বলে কথা। কোন কষ্টই কষ্ট বলে মনে হয়না।
গত দুদিন ধরেই বাংলাদেশের সকল জেলায়ই ঘরমুখো মানুষের ব্যস্ততা। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন, বাসের টিকিট সংগ্রহ করা, জিনিসপত্র গোছানো এবং ঈদপূর্ব কেনাকাটা। তবে এখন আর হাতে সময় নেই। প্রস্তুতি যা হয়েছে তা দিয়েই ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
কয়েকদিন ধরেই মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করলেও গতকালও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং সিনেমা প্যালেস, দামপাড়া, অলংকার মোড়, বহদ্দারহাট, স্টেশনরোড, ঢাকার সায়েদাবাদসহ সব বাসস্টেশনগুলোতে ছিল বাড়ি ফিরতে চাওয়া মানুষের পদচারণায় মুখর। এসব স্টেশনে নানা কারণে আসন সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। অনেককে নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়ে শেষ উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে বিভিন্ন ধরনের চেয়ারকোচগুলোকে। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি অনেকের। তারা অপেক্ষায় আছেন আজ রোববার যদি অন্য কোন উপায়ে যাওয়া যায়।
নানা কারণে নিজ গন্তব্যে যেতে না পারা কিছু নগরবাসী ছাড়া বেশিরভাগ মানুষই ইতোমধ্যেই তাদের স্বগ্রামে অবস্থান করছেন। যে কারণে গতকাল রাত থেকেই নগরীর বিভিন্ন অলিগলি অনেকটাই ফাঁকা হতে শুরু করে। এদিকে বাড়িফেরা এসব মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সিএনজি ট্যাক্সি, বাস ও মাইক্রোবাসগুলো হাঁকছে নির্দিষ্ট ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি। নানা অজুহাতে এসব চালকরা ছিল নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। ফলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে চালকদের কথামতো ভাড়ায় যেতে বাধ্য হয়েছে অসংখ্য যাত্রী।
 

Copyright © 2009 by Your News, Your Site and Mirror Of Lakshmipur,